অনলাইন জন্ম নিবন্ধন
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন জন্ম নিবন্ধন দেখব online – ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে : জন্ম নিবন্ধন যাচাই আপনারা জানেন যে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই করতে পারবেন। এছাড়া আপনারা চাইলে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন।
অনলাইনে বার্থ সার্টিফিকেট ভেরিফাই করতে everify.bdris.gov.bd জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক apps ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। উক্ত সাইটে ভিজিট করার পর নিচের মত একটি পেইজ পাবেন। এখানে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন চেক করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড অনলাইন কপি প্রিন্ট করবেন কিভাবে।
এছাড়া জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে । https://everify.bdris.gov.bd/এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করলে আপনার খুব কম সময়ের মধ্যে ঘরে বসেই জাতীয় জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করতে পারেন।
সুপ্রিয় বন্ধুরা, আপনারা অনেকেই জানতে চাচ্ছিলেন কিভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই করা যায়। এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের সকল তথ্য উপস্থাপন করব । আশাকরি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে । আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনারা গুগল প্লে স্টোর থেকে জন্ম নিবন্ধন বাংলাদেশ নামে এপ্স পাবেন। সেটি আপনার গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিন । আপনার ফোনে ইন্সটল করে নেবেন। এরপর থেকে আপনারা অ্যাডুকেশন এর তথ্য জানতে পারবেন।
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে অনলাইনে গুগল সার্চ করে থাকেন। চলুন জেনে নেয়া যাক, জন্ম নিবন্ধন যাচাই অনলাইন চেক পদ্দতি, জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ও মোবাইল দিয়ে জন্ম নিবন্ধন চেক,
অনলাইন কপি ডাউনলোড সম্পর্কিত তথ্য জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি কিভাবে ডাউনলোড করবেন সেই প্রক্রিয়া উপস্থাপন করবো। প্রতিটি দেশের নাগরিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নীতিমালা রয়েছে।
এ নীতিমালার অধীনে সকল জন্ম-মৃত্যুর হিসাব রাখা হয়। মূলত জন্মগ্রহণকারী হিসাব রাখার জন্য জন্মতারিখ অ্যাড্রেস ঠিকানা সহ সকলের জন্যদেশে ( ২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) অনুযায়ী একজন মানুষের জন্মস্থান,
জন্ম নিবন্ধন দেখব online
নাম, লিঙ্গ, ধর্ম, পিতা মাতার নাম, তাদের স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্ম সনদ প্রদান করা। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন কিভাবে ডাউনলোড করে সে প্রক্রিয়া আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব ।
এজন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এর নিকট যোগাযোগ করতে হবে। তারা 50 থেকে 100 টাকার বিনিময় আপনাদের জন্ম নিবন্ধন ডাউনলোড করে দিবে।
এছাড়া আপনারা উক্ত ওয়েবসাইটে https://everify.bdris.gov.bd/ ভিজিট করে খুব কম সময়ের মধ্যে জন্ম সনদের সকল কাজ সম্পন্ন করে নিতে পারবেন । জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে Online BRIS ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
তাহলে সুখের বদর আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দিলাম কিভাবে আপনার জন্ম নিবন্ধন করবেন । মনে রাখবেন বাংলাদেশ জন্ম নিবন্ধন গুলিতে 17 ডিজিটের নিবন্ধন নম্বর থাকে।
ওই নাম্বারটি আপনার সকল ধরনের কাজে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া ভোটার আইডি কার্ড তৈরি ক্ষেত্রে আপনার জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , জাতীয় পরিচয় পত্র প্রাপ্তি, পাসপোর্ট , বিবাহ বন্ধন , ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, ব্যাংক হিসাব খোলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে জন্ম সনদের প্রয়োজন।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম ২০২২ নতুন নিয়মে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম ২০২২ নতুন নিয়মে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ। আপনি যদি আপনার শিশু বা অন্য কারো জন্ম নিবন্ধন করতে চান, এই লেখা গুলো আপনার জন্য অনেক কাজে আসবে। কারণ অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম (Jonmo Nibondhon Form Online) পূরণ করতে কি কি লাগবে এবং নির্ভুলভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম ছবিসহ বিস্তারিত দেখানো হলো দেখুন এবং ঘড়ে বসে পূরণ করুন ডকুমেন্ট আপলোড করতে কোন ঝামেলা হবে না আপনাদের আশাকিরি।
বর্তমানে আর হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করে আবেদন করা যায়না। আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরন করতে হবে।
এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা
- নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন – Birth Registration Application
- অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম – Jonmo Nibondhon Form Online
- প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ | জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগবে
- নিবন্ধনাধীর ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা
- পিতা ও মাতার তথ্য – Father’s and Mother’s Information
- স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা – Present and Permanent Address
- আবেদনকারীর তথ্য
- তথ্য সংযোজন করাবেন কি ভাবে
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন – Birth Registration Application
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুসারে শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
বিভিন্ন অসুবিধার কারণে ৪৫ দিনের মধ্যে করতে না পারলেও আমার পরামর্শ থাকবে আপনার শিশুর ৫ বছরের মধ্যে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিবেন।
অন্যথায়, ৫ বছর বয়স অতিক্রান্ত হলে জন্ম নিবন্ধন করতে অনেক অতিরিক্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় এবং ঝামেলা পোহাতে হয়।
নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন, সংশোধন ও অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পেতে নিচের দেয়া লিংকে পড়ুন।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম – Jonmo Nibondhon Form Online
আমাদের অনেকেই জানেন না জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়। তাই এই ব্লগে আমি সব কিছু বিস্তারিত শেয়ার করলাম।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের পুরাতন ওয়েবসাইটটি পরিবর্তন করে নতুন ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন নতুন লিংক হচ্ছে – https://bdris.gov.bd/
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
ধাপ ১– প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ | জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগবে
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য সংগ্রহ করেই অনলাইনে আবেদন করবেন। এতে আবেদন করার সময় নির্ভুলভাবে সকল তথ্য দিতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার জন্য নিম্মোক্ত তথ্য ও ডকুমেন্টসমূহ প্রয়োজন হবে।
শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে হলে:
- ইপিআই (টিকা) কার্ড
- পিতা ও মাতার ডিজিটাল বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক) কপি
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
- বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
- আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
শিশুর বয়স ৪৬ থেকে ৫ বছর হলে:
- ইপিআই (টিকা) কার্ড / স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যায়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
- পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক) কপি
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
- বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হাল সনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ
- আবেদনকারী পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
- আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
৫ বছরের বেশি শিশু বা ব্যক্তির জন্য:
- বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী)
- সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
- পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক) কপি
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
- অথবা, জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র
- অথবা, জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)
ধাপ ২– নিবন্ধনাধীর ব্যক্তির পরিচিতি ও জন্মস্থানের ঠিকানা
অনলাইনে আবেদনের জন্য প্রথমে আপনার কম্পিউটার থেকে https://bdris.gov.bd/ এই লিংকে ভিজিট করুন। এখানে নিচের মত একটি পেইজ পাবেন।
আপনি কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধন করাতে চান, এখানে তা বাছাই করুন।
অর্থাৎ যে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে চান, সেটি নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির কোন ঠিকানায় তা এখানে নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
নামের ২ টি অংশ থাকলে ১ম অংশটি নামের প্রথম অংশের ঘরে লিখবেন ও ২য় অংশটি নামের শেষের অংশে লিখবেন।
যদি নামের ৩টি অংশ থাকে ১ম ২টি অংশ নামের প্রথম অংশে লিখবেন এবং শেষ অংশটি নামের শেষের অংশের ঘরে লিখবেন।
যদি নাম ১ শব্দে হয় অর্থাৎ নামের অংশ ১টি হয়, এক্ষেত্রে প্রথম অংশ খালি থাকবে। শুধুমাত্র নামের শেষ অংশে নাম লিখবেন।
একইভাবে ইংরেজিতেও পূরণ করবেন। এছাড়া, অন্যান্য তথ্যসমূহ ও জন্মস্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করুন।
সবশেষে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩– পিতা ও মাতার তথ্য – Father’s and Mother’s Information
এই ধাপে নিবন্ধনাধীন শিশু বা ব্যক্তির পিতা ও মাতার অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জাতীয়তা দিতে হবে।
এখানে পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর লিখার পর স্বয়ংক্রীয়ভাবে নামসমূহ আসবে। এগুলো আপনি এডিট করতে পারবেন না।
এজন্য, পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধনটি ডিজিটাল বা অনলাইন কিনা তা অবশ্যই আগে যাচাই করে নিবেন। বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন তথ্য অনলাইনে না থাকলে, শিশুর জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবেনা।
নিচের লিংক থেকে চেক করে দেখুন জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল কিনা।
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই
তবে, নিবন্ধনাধীন ব্যক্তির জন্ম তারিখ ২০০০ সাল বা তার পূর্বে হলে, পিতা-মাতার নাম লিখে দিতে পারবেন এবং পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর না থাকলেও চলবে।
তথ্যগুলো পূরণ করা শেষে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪– স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা – Presentand Permanent Address
এ পর্যায়ে আপনাকে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার তথ্য প্রদান করতে হবে। নিচের ছবিটি এই ভাবে দেখুন।
এখান থেকে, কোনটিই নয় বাটনে ক্লিক করুন। এরপর নিচের ছবির মত ঠিকানা দেওয়ার অপশন পাবেন।
স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে, জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে চেক বক্সে টিক দিন (লাল বক্সে চিহ্নিত)। এছাড়া বর্তমান ঠিকানার ক্ষেত্রেও স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে (লাল বক্সে চিহ্নিত) চেক বক্সে টিক দিন।
অন্যথায়, ঠিকানাগুলো নির্বাচন করে দিন এবং গ্রাম, বাসা ও সড়ক নম্বর লিখে দিন। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫– আবেদনকারীর তথ্য
এ ধাপে যিনি এই জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করছেন, তার তথ্য দিতে হবে। সাধারণত একটি শিশুর জন্ম নিবন্ধনের জন্য দায়ী ব্যক্তি হচ্ছেন পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী, মাতামহ, মাতামহী বা আইনগত অভিভাবক। তাই শিশুর জন্ম নিবন্ধনের আবেদন তারাই করে থাকেন।
তাছাড়া আপনি নিজেও নিজের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। নিজে আবেদন করলে নিজ সিলেক্ট করুন। অথবা, পিতা, মাতা, পিতামহ, পিতামহী ইত্যাদি সিলেক্ট করবেন।
সবকিছু ঠিক থাকলে ডান পাশের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন এবং আবেদনটি সম্পন্ন করা যেত কিন্ত এখন অনেকে ই এই প্রযন্ত আসতে পারেন এখন নতুন নিয়ম চালু করেছে সংযোজন করতে হবে ডকুমেন স্কান করে প্রতিটি ফাইল ১০০ কেবির কম হতে হবে আনেকে ই সাইজ কমাতে পারেন না তাই আবেদন করতে পারেন না যেকোন সফটারের মাধ্যমে কমিয়ে নিয়ে সংযুক্তি ( প্রতিটি ফাইলের জন্য, সর্বোচ্চ ফাইল সাইজ 100 কিলো বাইট ) আবেদন সাবমিট করে সম্পন্য করুন।
সফলভাবে ফরমটি সাবমিট হলে আপনি প্রিন্ট করার অপশন পাবেন। জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনের সাথে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে জমা দিবেন।
পরবর্তীতে আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়েছে কিনা তার অবস্থা জানতে জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই করতে পারবেন অনলাইন থেকে।
জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত আরো প্রয়োজনীয় তথ্য, পরামর্শ ও টিপস পেতে দেখুন – অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
মেনুয়াল ফরম ডাউনলোড করুন এখানে ক্লক করে
- অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংক্রান্ত প্রশ্ন ও উত্তর
নিবন্ধন কখন করতে হয়?
সাধারণত শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করানো উত্তম। তবে শিশুর ৫ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা সুবিধাজনক। এর বেশি বয়স হলে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনেক বেশি দিতে হয় যা অত্যন্ত ঝামেলাপূর্ণ।
নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি লাগে
শিশুর/ ব্যক্তির বয়স অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিছুটা ভিন্ন হবে। বয়স ৫ বছরের বেশি হলে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের অতিরিক্ত ডকুমেন্টের প্রয়োজন হবে। জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে তা জানতে পড়ুন- জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করতে হয়?
শিশুর বা কোন ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি ও অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট কপি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে জমা দিতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন কি দুইবার করা যায়?
না। জন্ম নিবন্ধন ২য় বার করা যাবে না। স্বয়ংক্রীয়ভাবে সার্ভারে ডুপ্লিকেট এন্ট্রি দেখাবে।
বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনে কি স্বামীর নাম লেখা যাবে?
না। জন্ম নিবন্ধনে স্বামীর নাম লেখার কোন সুযোগ নেই। পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে।
পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন না থাকলে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে?
২০২২ সালের নতুন আপডেট অনুসারে, ২০০১ বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী সকল শিশুর জন্ম নিবন্ধন করতে পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ছাড়া শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা যাবে না।
জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের সময় ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ সমস্যার সমাধান কি?
‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ টি একই জেলায় হলে অথরাইজড ইউজার বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) প্রয়োজনীয় অনু্সন্ধান করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবেন। ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ টি একই জেলায় না হলে প্রথমে প্রশাসনিকভাবে ভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগ করে অনু্সন্ধান বা তদন্ত করতে হবে। এতে ডুপ্লিকেট হওয়ার অনুকুলে কোনো তথ্য পাওয়া না গেলে আবেদনকারীকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছে থেকে অন্যত্র তার জন্ম নিবন্ধন করা হয়নি মর্মে লিখিত নিয়ে আবেদনটি মঞ্জুর করা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে।
৫টি ‘প্যারামিটার’ মিলে গেলে ‘পসিবল ডুপ্লিকেট’ ১০০% ‘ডুপ্লিকেট’ হিসাবে প্রতীয়মান হয়। প্যারামিটারগুলো হচ্ছে ক. আবেদনাধীন বাক্তির নাম, খ. পিতার নাম, গ. মাতার নাম, ঘ. নিবন্ধন কার্যালয়ের নাম, এবং ঙ. জন্ম তারিখ। ‘ডুপ্লিকেট’ হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিগণের জন্ম তারিখের ব্যবধান ৮ /১০ বছর বা তার বেশি হলে বা স্থায়ী ঠিকানা না মিললে ‘ডুপ্লিকেট’ হবার সম্ভাবনা সাধারণত ০% হয়ে যায়
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন