আসুন ছোট ছোট/বড় বড় শিরক সম্পর্কে জানি ও এগুলো থেকে বিরত থাকি।

ছোট/বড় বড় শিরক সম্পর্কে

🔘শরিরে যে কোন প্রকার তাবিজ ঝুলানো শিরক।

__(মুসনাদে আহমদ: ১৭৪৫৮, সহিহ হাদিস:৪৯২)

🔘আল্লাহ্ ব্যাতিত অন্য কারো নামে কসম করা শিরক।

__(আবু দাউদ:৩২৩৬(ইফা)

🔘কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষন বা কুলক্ষণ মনে করা শিরক।

__(বুখারি :৫৩৪৬, আবু দাউদ:৩৯১০)

🔘মাজারে ও কোন পির-ফকির কিংবা কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক।

__(সুর জীন: ২০, মুসলিম:১০৭৭,আবু দাউদ, মুত্তাফাকুন আলাই)

ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর

🔘আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো বা যেকোন পির আওলিয়া কিংবা মাজারের নামে মানত করা শিরক।

__(সহিহ বুখারি: অধ্যায় : তাকদির)

🔘কেউ পেছন দিক থেকে ডাক দিলে কিংবা নিজে যাত্রার সময় পিছন ফিরে তাকালে যাত্রা অশুভ হয় এই ধারনা বিশ্বাস করা শিরক।

__(বুখারি, আবু দাউদ:৩৯১০)

🔘কোন বিপদে পড়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে “ও মা, ও বাবা” ইত্যাদি বলে এইরকম গায়েবি ডাকা শিরক।

বিপদে পড়লে “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন” বলতে হয়।

__(সুরা বাকারাহঃ ১৫৬)

🔘তোর ভবিষ্যত অন্ধকার’, ‘তর কপালে বহুত কষ্ট আছে’,এই ধরনের গায়েবি কথা কাউকে বলা শিরক।

__(সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৫-২৬, আনাম:৫৯)

🔘হোচট খেলে কিংবা পেচা ডাকলে সামনে বিপদ আছে এই ধারনা শিরক

__(সুরা আনাম:১৭, ইউনুস:১০৭)

🔘রোগ ব্যাধি বা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে শরীরে পিতলের বালা, শামুক, ঝিনুকের মালা, সুতা, কিংবা যেকোন প্রকারের বস্তু লটকানো শিরক।

__(তির্মিযি, আবু দাউদ ও হাকেম)

🔘সকালে বেচাকেনা না করে কোন কাষ্টমারকে বাকি দিলে কিংবা সন্ধ্যার সময় কাউকে বাকি দিলে ব্যাবসায় অমঙ্গল হয় এই ধারনা করা শিরক!।

__(আবু দাউদঃ৩৯১০)

🔘সফলতা কিংবা মঙ্গল লাভের জন্য এবং অমঙ্গল থেকে রক্ষা পেতে যেকোন প্রকার আংটি ব্যবহার করা শিরক।

__(সুরা আনাম:১৭, ইউনুস :১০৭)

🔘যে কোন জড় বস্তুকে সম্মান দেখানো তথা তাযীম করা বা তার সামনে নিরবতা পালন করা শিরক

যেমন: পতাকা, স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার কিংবা মাজার ইত্যাদি।

__(সুরা বাকারাহ:২৩৮, আহকাফ:৫, ফাতহুল বারি ৭/৪৪৮, আবু দাউদ:৪০৩৩)

🔘আল্লাহর ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কিংবা লোক দেখানো ইবাদাত করা শিরক।

__(সুরা আনাম:১৬২, বাইয়িনাহঃ ৫, কাহফ:১১০,ইমরান:৬৪, ইবনে মাজাহ হা নং৫২০৪)

🔘আল্লাহ্ ব্যাতিত কোন গণক বা অন্য কেউ গায়েব জানে এই কথা বিশ্বাস করা শিরক

__(সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৬, আনাম:৫৯)

🔘পায়রা/ কবুতর উড়িয়ে শান্তি কামনা করা শিরক,

কারণ শান্তিদাতা একমাত্র আল্লাহ্

__(সুরা হাশরঃ ২৩)

🔘আল্লাহর ছাড়া কোন পির-আওলিয়া এবং কোন মাজারের নিকট দুয়া করা বা কোন কিছু চাওয়া শিরক।

__(সুরা ফাতিহা:৪, আশ শোআরা:২১৩, গাফির:৬০, তির্মিযি)

এইরকম আরো অসংখ্য শিরক সমাজে বিদ্যামান।

আল্লাহ্ বলেন, অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে শিরকও করে।

__(সুরা ইউসুফঃ ১০৬)

মনে রাখবেন,,

শিরক এমন একটি গুণাহ যা করলে ঈমান এবং পূর্বের সমস্ত আমল সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যায়। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ যেকোন গুণাহ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুণাহ ক্ষমা করবেন না।

আল্লাহ্ বলেন,,

নিসন্দেহে আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে যেকোন গুণাহ ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুণাহ কখনো ক্ষমা করবেন না।__(সুরা নিসা :৪৮,১১৬)

নিশ্চয় যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দেন এবং জাহান্নামকে অবধারিত করে দেন।

__(সুরা মায়িদাহ:৭২)

আল্লাহ আমাদের সবাইকে ছোট ছোট শিরক হতে রক্ষা করেন,, আমীন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *