পালং শাক এর উপকারিতা : প্রতিদিন সবার সবুজ শাক-সবজি খাওয়া জরুরি। সুস্থ থাকার জন্য আমাদের যা খুবই জরুরি। এখন বাজারে অনেক রকম শাক পাওয়া যায়, যা পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। এর মধ্যে পালং শাক অন্যতম। পালং শাকের রয়েছে অনেক গুণ। ১ কাপ পালং শাক শরীরের দৈনিক ফাইবার চাহিদার ২০ শতাংশ পূরণ করে। পাশাপাশি এই শাক থেকে ভিটামিন এ ও কে পাওয়া যায়।
আরও রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক অ্যাসিড ও সেলেনিয়াম। সুস্থ থাকার জন্য এই উপাদানগুলো খুবই জরুরি।
পালং শাক এর উপকারিতা
পালং শাকের পুষ্টিগুণ
পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
পালং শাকে কোন ভিটামিন থাকে
পালং শাক রেসিপি
লাল শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
পালং শাকের ছবি
শাকের তালিকা
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক পালং শাকের উপকারিতাগুলো:
১. পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
২. ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এই শাক। সঙ্গে শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে।
৩. পালং শাক আয়রনে ভরপুর যা দেহে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৪. এই শাকে থাকা ভিটামিন-এ ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখে, ব্রণ, বলিরেখা দূর করে, ত্বককে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। ত্বক রাখে নরম ও মসৃণ।
৫. পালং শাকে রয়েছে খুব কম পরিমাণ ক্যালোরি। কাজেই ওজন বাড়ার চিন্তা না করে নির্ভয়ে যত ইচ্ছে খাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম পালং শাকে রয়েছে মাত্র ৭ কিলোক্যালরি।
৬. এতে রয়েছে ভিটামিন এ যা লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কণিকার মাত্রা ঠিক রাখে। ফলে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়। এতে শরীর বাঁচে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে।
৭. পালং শাকে রয়েছে ১০টিরও বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা পলিনিউট্রিয়েন্টস শরীর থেকে ফ্রি র্যাডিক্যাল বের করে দেয়।
৮. সবুজ শাক-সবজিতে লুটেনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন যা চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়।