ফিতরা কত টাকা ২০২২ – Fitra Amount 2022

ফিতরা কত টাকা ২০২২ : ফিতরা কেন দিবেন, এ বছর ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি এ হার নির্ধারণ করেছে। আজ শনিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

Zakat Calculator For Gold

গত বছর জনপ্রতি ফিতরার হার সর্বনিম্ন ৭০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা ছিল। নিসাব পরিমাণ মালের মালিক হলে মুসলমান নারী-পুরুষের সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করতে হয়।

সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামি শরীয়াহ মতে, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। উন্নতমানের আটা বা গম দিয়ে ফিতরা আদায় করলে অর্ধ স’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭৫ টাকা প্রদান করতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে এক স’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩০০ (তিনশ) টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৪২০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে এক সা’বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা ও পনির দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।

Zakat Calculator For Gold

দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, গম, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরোক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। উল্লেখ্য, উপরোক্ত পণ্যস

যাকাত হিসাব করার নিয়ম ২০২২
যাকাত হিসাব করার নিয়ম ২০২২

মূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে

ফিতরা কেন দিবেন / ফিতরা কি / সদকাতুল ফিতরা কি?

 

ইসলামের ২য় হিজরীতে রসূল পাক (সঃ) এর উম্মতের উপর রোজা ফরজ হয়। সাথে সাথে রোজার ভুল-ত্রুটির কথা বিবেচনা করে রসূল করিম (সঃ) উম্মতদের “সাদকাতুল ফিত্‌র” আদায়ের নির্দেশ দেন।

নামাজের ভুল-ত্রুটির জন্য “সাহু সিজদা” দিয়ে নামাজকে যেমন ত্রুটি মুক্ত করার নির্দেশ। যেমনি “দম” (অতিরিক্ত কোরবানী) দেয়ার মাধ্যমে হজ্ব পালনের দোষ-ত্রুটি মুক্ত করা হয়, তেমনি ফিত্‌রার মাধ্যমে রোজার দোষ-ত্রুটি মুক্ত করার প্রধান কাজ।

রমযানের সাওম সংক্রান্ত ত্রুটি-বিচ্যুতিসমূহ হতে মুক্ত হওয়ার বিশেষ সুযােগ স্বরূপ ইসলামি শরিয়তে সদাকাতুল ফিতর এর বিধান দেওয়া হয়েছে। ধনী, ছােট, বড়, স্বাধীন, ক্রীতদাস, নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সকলের উপর ওয়াজিব হয়। যারা যাকাত গ্রহণ করতে পারে এমন ব্যক্তি সদাকাতুল ফিতরও গ্রহণ করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে রসুলুল্লাহ (সা:)-এর থেকে হযরত ইবনু ওমর (রা:) বর্ণনা করেন-

فرض رسول الله صلى الله عليه و ستم زكاة النظر من رمضان اغا ن تمر أوضاعا بين شعير على العبي والخير والكر والأنثى والصغير والكبير من المشييي.

অর্থ: রসুলুল্লাহ (সা: ) সদাকাতুল ফিতর এক সা’ পরিমাণ খেজুর কিংবা যব প্রত্যেক মুসলিম, ক্রীতদাস ও স্বাধীন, পুরুষ ও নারী, ছােট ও বড় সকলের উপর অপরিহার্য করেছেন। (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *