লাইলাতুল কদর সুরা, লাইলাতুল কদর সূরা, সূরা কদর বাংলা অনুবাদ, আরবি উচ্চারণ ও অর্থ

লাইলাতুল কদর সুরা

লাইলাতুল কদর সুরা, লাইলাতুল কদর সূরা, ইন্না আনযালনাহু ফি লাইলাতুল কদর সূরা, লাইলাতুল কদর সুরা, সূরা লাইলাতুল কদর, লাইলাতুল কদরের দোয়া, সূরা ইন্না আনযালনা বাংলা উচ্চারণ,
সূরা কদর বাংলা অনুবাদ, আরবি উচ্চারণ ও অর্থ

লাইলাতুল কদর, লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ম

  • (১)إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
    উচ্চারণঃ ইন্নাআনঝালনা-হু ফী লাইলাতিল কাদর।
    অর্থঃ আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।
    (২) وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
    উচ্চারণঃ ওয়ামাআদরা-কা-মা-লাইলাতুল কাদর।
    অর্থঃ শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?
  • (৩)لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
    উচ্চারণঃ লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর।
    অর্থঃ শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
  • (৪)تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
    উচ্চারণঃ তানাঝঝালুল মালাইকাতুওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর।
    অর্থঃ এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
  • (৫)سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
    উচ্চারণঃ ছালা-মুন হিয়া হাত্তা-মাতলা’ইল ফাজর।
    অর্থঃ এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

 

লাইলাতুল কদর নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও দোয়া

এ রাতের ফজিলত অন্য যেকোনো রাতের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। বলা যেতে পারে- এ রাত হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে যত বেশি নফল নামাজ আদায় করবেন তত বেশি সওয়াব।

মহান আল্লাহ্‌ বলেন:

“নিশ্চয়ই আমি (কোরআন)কে অবতীর্ণ করেছি এই মর্যাদাপূর্ণ রাত্রিতে (লাইলাতুল কদরে)। আর মর্যাদাপূর্ণ রাত্রি সম্বন্ধে আপনি কি জানেন? মর্যাদাপূর্ণ রাত্রি হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। ঐ রাত্রিতে ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিবরীল) অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিময় সেই রাত্রি ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত।” (সূরা কদর)

হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ৪ রাকাত নামাজ ক্দরের রাতে আদায় করবে এবং উক্ত নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ২১ বার করে সূরা ইখলাছ পাঠ করবে, আল্লাহ তা’য়ালা ওই ব্যক্তিকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ করে দেবেন এবং বেহেশতের মধ্যে এক মনোমুগ্ধকর মহল তৈরি করে দেবেন।

অপর এক হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, হযরত রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ক্দরের রজনীতে ৪ রাকাত নামাজ আদায় করবে এবং উহার প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা কদর ও সূরা ইখলাছ তিনবার করে পাঠ করবে, নামাজ শেষে সিজদায় গিয়ে নিম্নের দোয়াটি কিছু সময় পাঠ করে আল্লাহর দরবারে যা-ই প্রার্থনা করবে তিনি তাই কবুল করবেন এবং তার প্রতি অসংখ্য রহমত বর্ষিত করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *