শবে বরাতের রোজার নিয়ত যারা শবে বরাতের নফল রোজার রাখার নিয়ত করেছে তাদের জানাই।আপনি যদি তিনটি রাখেন তাহলে আপনি ১২, ১৩, ১৪ তারিখ রোজ রৃহপতি শুক্র শনি বার রোজা রাখেন।যদি 2টা রোজ রাখেন তাহলে শুক্র ও শনিবার এবং ১টা রাখতে চাইলে শনিবার রোজা রাখেন।
প্রত্যেক চন্দ্র মাসের মাঝামাঝি সময় তথা ১৩-১৫ তারিখ তিন দিন আইয়ামে বিজের রোজা রাখা সুন্নাত। প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদের এ রোজা রাখতে বলেছেন। সে হিসেবে (১৪৪৩ হিজরি) চলতি শাবান মাসে আইয়ামে বিজের রোজা রাখার দিন হলো ১৭-১৮-১৯ মার্চ।
শবে বরাতের রোজার নিয়ত
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য প্রত্যেক আরবি মাসের মধ্যভাগে তিন দিন রোজা রাখার তাগিদ দিয়েছেন। সে হিসেবে এ (শাবান) মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ হলো ১৭, ১৮ ও ১৯ মার্চ। যারা এ তিন দিন রোজা রাখবেন; তাদের ১৬ মার্চ দিবাগত রাতে সাহরি খেতে হবে।
শবে বরাতের রোজার নিয়ত
আইয়ামে বিজের রোজার রাখার নির্দেশ, বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা
আইয়ামে বিজের রোজা রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-
রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা
এ ছাড়াও আইয়ামে বিজের রোজা সম্পর্কে বর্ণিত আছে-
হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম বেহেশতের নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ার পর তাদের শরীর থেকে জান্নাতি পোশাক চলে যায়। আর তাদের শরীরের রংও কুৎসিত হয়ে যায়। এরপর হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহর হুকুমে চন্দ্র মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রোজা রাখলে আবার তাদের শরীরের রং উজ্জ্বল হয়ে যায়। তাই এই তিন দিনকে আইয়্যামে বিজ বা উজ্জ্বলতার দিন বলা হয়।
আইয়ামে বিজের রোজা রাখার ফজিলত বর্ণনায় হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোজা পালন, সারাবছর রোজা পালনের সমান।’
অপরদিকে, শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিবাগত রাত) শবে বরাত পালিত হয়। সেই হিসেবে ১৮ মার্চ দিবাগত রাতই শবে বরাত।
‘সৌভাগ্যের রাত’ হিসেবে পরিচিত লাইলাতুল বরাতের পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন।
শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতে ইবাদত বন্দেগির পর রোজা পালন প্রসঙ্গে এক হাদিসে এসেছে-
হজরত আলি ইবনে আবু তালেব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পনেরো শাবানের রাতে (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে; তখন তোমরা রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলায় রোজা রাখ। কেননা এ রাতে সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে আসেন এবং বলেন, কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। আছে কি কোনো রিজিকপ্রার্থী? আমি তাকে রিজিক দেব। এভাবে সুবহে সাদেক পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা ডাকতে থাকেন।’ (ইবনে মাজাহ)
রোজা রাখার নিয়ত বাংলায়
ইফতার ও সেহরির সময়
রোজার নিয়ত আরবি ও ইফতারের দোয়া আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ অর্থ সহ
হাদিসটিকে কেউ কেউ জয়ীফ বা দুর্বল বলেছেন আবার কেউ কেউ এটিকে মওজু (চরম দুর্বল বা ভ্রান্ত) বলেছেন। অনেক ইসলামিক স্কলার এ দিন রোজা রাখাকে মাসনুন বলেছেন আবার অনেকেই মোস্তাহাব বলেছেন।
তবে যারা আইয়ামে বিজের রোজা পালন করেন অর্থাৎ প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখেন, তাদের রোজা রাখতে বাধা নেই।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজের রোজা রাখা ও শবে বরাতে ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।