প্রকৃতিগতভাবে শীতের শুরুতে ঠান্ডাভাবটা না থাকলে আবহাওয়ার আদ্রতা কমে যাওয়ার কারণে ত্বকের টান টানভাবটা শুরু হয়ে যায়। শুরু হয় পায়ের গোড়ালি ফাটা। অনেকের আবার শুধু শীতকালেই নয়, সারা বছরই পায়ের গোড়ালি ফাটে।
গোড়ালি ফাটলে পায়ের সৌন্দর্যও নষ্ট হয় এবং জুতা পরলে ভালো দেখায় না। তাই পায়ের গোড়ালির যত্ন নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পা ফাটা দূর করার ক্রিম
হাত পা ফাটা দূর করার উপায়
গরমে পা ফাটা দূর করার উপায়
পা ফাটার ক্রিম বাংলাদেশ
পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
পা ফাটার কারন
পা ফাটার কারণ ও প্রতিকার
যেভাবে পায়ের যত্ন নেবেন
পা ফাটা সমস্যা দূর করতে শীতের শুরুরদিকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। যেহেতু মাত্রই শীত পড়া শুরু হয়েছে তাই এখন থেকেই যদি প্রচেষ্টা শুরু করেন, তাহলে তীব্র শীতেও পা মখমলি কোমল থাকবে।
যাদের পা ফাটার সমস্যা খুব বেশি, তাদের রাস্তায় বের হওয়া মানেই মোজার সাথে পা ঢাকা জুতা পরা জরুরি। বিশেষ করে গোড়ালি ঢাকা জুতা।
শীতের কয়েকটা মাস পা ঢাকা পিপ টো, ব্যালেরিনা, মোজরি বা পাম্প শুর উপর আস্থা রাখুন। স্নিকার্স তো ভালো অপশন। গোসলের পর পায়ে ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নেয়া আবশ্যক, তারপর পা ঢাকা জুতা পরার আগে ভালো করে ক্রিম মেখে মোজা পরে ঢাকা জুতা পরলে সুস্থ থাকবে গোড়ালি।
প্রতিদিন কাজকর্মের শেষে বাড়িতে ফিরে অন্তত ২০ মিনিট শ্যাম্পু মেশানো উষ্ণ পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন। তুলে পামিস স্টোন বা ঝামাপাথর দিয়ে ঘষে নিয়ে একবার ধুয়ে নিন, তার পর ক্রিম মেখে, চটি পরে নিন। রাতে শোবার সময় ডিপ ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নিন।
পায়ের ত্বকের মৃত কোষ প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে, জমতে দিলেই কিন্তু ময়লা পড়ার আশঙ্কা বাড়বে। চালের গুঁড়ো, মধু, লেবুর রস, দুধের সর দিয়ে ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করে নিন। ফুটবাথ নেয়ার পর এই প্যাক লাগিয়ে খানিকক্ষণ রাখুন। শুকনো হয়ে গেলে ঘষে ঘষে তুলবেন।
ফুটবাথ নেয়ার পর অ্যালোভেরা জেল আর অলিভ অয়েলের একটা মিশ্রণ তৈরি করে পুরো পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেলটা বের করে নিন। তারপর পেট্রোলিয়াম জেলির সাথে ভিটামিন ই মিশিয়ে সেটা পায়ে মেখে ফেলুন। রাতের দিকে এই প্রলেপ লাগিয়ে মোজা পায়ে দিয়ে শুয়ে পড়লে পা নরম থাকবে।