সেহরির দোয়া

সেহরির দোয়া ও ইফতারের দোয়া বাংলা: মাহে রমজান মাসের রোজা রাখার জন্য অনেকেই আরবীতে নিয়ত করতে পছন্দ করে আবার অনেকে পছন্দ করে নিজের মাতৃভাষায় রোজার নিয়ত করার জন্য। যে যেভাবে নিয়ত করুক না কেন নিয়ত করাটা আগে জরুরী তবে আমরা আজকে আপনাদের মাঝে রমজান মাসের রোজা রাখার নিয়ত আরবীতে এবং তার বাংলা উচ্চারণসহ নিচে বর্ণনা করা হল।

রোজার নিয়ত করা কি ফরজ

সেহরির দোয়া ও ইফতারের দোয়া বাংলা

রোজার নিয়ত করা কি ফরজ

রোজার নিয়ত করা কি ফরজ? যেহেতু প্রশ্নটা চলে এসেছে এর মানে আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জানেন না যে রমজান মাসে রোজা রাখার জন্য নিয়ত করা টা ইসলামিক দৃষ্টিতে কি অর্থাৎ কি শব্দটি দিয়ে বোঝানো হচ্ছে ইসলামক রোজার রাখার জন্য রোজার নিয়ত করা ফরজ করেছে, সুন্নত নাকি নফল?
রোজার নিয়ত করা কি ফরজ। এর উত্তর হলো রোজা রাখার পূর্বে রোজার নিয়ত করা ফরজ কেউ যদি রোজা রাখার জন্য রোজার নিয়ত না করে রোজা পালন করে তাহলে তার রোযা শুদ্ধ বা সঠিক হবে না তাছাড়া আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতিটি আমলের সওয়াব নিয়তের উপর নির্ভর করে প্রদান করে থাকে প্রতিটি কাজের জন্য নিয়ত সহি এবং সুন্দর হতে হয়।

রোজার নিয়ত আরবি – আরবি-বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ এখানে দেখুন

রোজা রাখার নিয়ত আরবিতে

রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা
রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা

সেহরির শেষ সময়

পবিত্র মাহে রমজানে সিয়াম পালনের জন্য অর্থাৎ রোজা রাখার জন্য রোজা রাখার নিয়ত করা অবশ্যই করনীয় যাকে ফরজ বলা হয় এটা আমরা জেনেছি আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা রোজার নিয়ত আরবীতে করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। অনেকেই জানতে চায় রোজা রাখার জন্য রোজার নিয়ত আরবিতে কিভাবে করব? তাদের জন্য রয়েছে রোজা রাখার নিয়ত আরবি যা নিচে প্রদান করা হলো।
যার আরবি পড়তে পারেন তারা সহজেই দোয়াটি পড়ে রোজার নিয়ত করতে পারবেন।

আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২

সেহরির দোয়া আরবি নিয়ত

রোজা রাখার আরবি নিয়ত নিচে প্রদান করা হলো

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

সেহরির দোয়া নিয়ত বাংলায়

রোজা রাখার জন্য নিয়ত কিভাবে করলেন সেটা জরুরি নয় আপনি আরবিতে রোজা রাখার নিয়ত করলেন নাকি বাংলা উচ্চারণে নিয়ত করবেন সেটা মুখ্য বিষয় নয় তবে আপনি রোজা রাখার জন্য নিয়ত করলেন কিনা সেটাই মুখ্য বিষয় যে কোনভাবেই হোক রোজার নিয়ত করা অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোজার নিয়ত বাংলা উচ্চারণ প্রদান করা হলো-

রোজা রাখার নিয়ত বাংলা উচ্চারণ
বাংলা উচ্চারণঃ– নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আংতাস সামিউল আলিম।

রোজা রাখার জন্য আমরা যে নিয়ত করে থাকে অনেকে জানতে চাই এর বাংলা অর্থ কি তাই আজকে আপনাদের মাঝে রোজার নিয়ত এর বাংলা অর্থ আলোচনা করা হলো-

বাংলা অর্থঃ- হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

ইফতারের দোয়া আরবিতে

সারাদিন সিয়াম সাধনা করে আমরা যখন ইফতারি করব অর্থাৎ একটি রোজার সমাপ্ত ঘটবে তখন আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা করার মাধ্যমে অর্থাৎ ইফতারের দোয়া পড়ার মাধ্যমে ইফতারি করা উচিত নিচে ইফতারের দোয়া আরবি দেওয়া হল

اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ
ইফতারের দোয়া বাংলা

আমরা চাইলে ইতি তোমার বাংলা উচ্চারণ এর মাধ্যমে ইফতারি দোয়াটি পড়তে পারে রোজা রাখার জন্য এবং ইফতারি করার জন্য বাংলা উচ্চারণ সহ বর্ণনা করা হলো

বাংলা উচ্চারণঃ- আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।

অর্থঃ- হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি
নফল রোজার নিয়ত
নফল রোজার নিয়ত আরবি যে কোন ভাবেই হতে পারে নিয়ত কথাটা অর্থই হচ্ছে ইচ্ছা পোষণ করা অর্থাৎ আপনার মনে মনে একটি বিষয় স্থির করলেন যে নেই আপনি একটি নফল রোজা পালন করবেন এতে আপনার নিয়ত হয়ে যাবে কারণ নিয়তের অর্থই হচ্ছে কঠিন কোন কাজ করার জন্য মনস্থির করা।

নফল রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া বাংলা

আমরা অনেকেই অনেক নফল ইবাদত করে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আরেকটি নকল করা হচ্ছে সিয়াম পালন করা বা রোজা রাখা অনেকেই আমাদের মধ্যে জানতে চাই যে নফল রোজার জন্য নফল রোজার জন্য আলাদা কোন নিয়ত শেয়ার করার জন্য আলাদা কোন প্রয়োজন আছে কিনা প্রকৃতপক্ষে কথাটি প্রকৃত অর্থেই হচ্ছে ইচ্ছা পোষণ করা হয় অর্থাৎ আপনি সিয়াম পালনের জন্য ইচ্ছে পোষণ করেছেন এটাই হচ্ছে নিয়ত আলাদাভাবে কোন নিয়ত করার প্রয়োজন আছে কিনা

নফল রোজার নিয়ত কখন করতে হয়

নফল রোজার মধ্যে কিছু কিছু না করলে রয়েছে যা সুনির্দিষ্ট অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ে ওই নফল রোজা গুলো রাখা হবে রাখা হয় তাছাড়া অনেক নফল রোজা রয়েছে যে ব্যক্তি নিজে থেকেই ইচ্ছে করে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে লেখা থাকে সে ক্ষেত্রে যদি নফল রোজা সুনির্দিষ্ট হয়ে থাকে তাহলে রোজা রাখার পূর্বে পূর্বেই রোজার নিয়ত করা উত্তম অর্থাৎ ফজর হওয়ার আগেই ব্যক্তি তার জন্য নিয়োগ করে ফেলাটাই উত্তম কাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *