শ্বাস-প্রশ্বাসে যে ৩টি ব্যায়াম করবেন না

শ্বাস-প্রশ্বাসে যে ৩টি ব্যায়াম করবেন না

শ্বাস-প্রশ্বাসে যে ৩টি ব্যায়াম করবেন না করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকেই পরামর্শ দেয়া হচ্ছে যে, সংক্রমণের ঝুঁকি ও জটিলতা কমাতে শ্বাসতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হবে। ভাইরাসটি শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ সৃষ্টির মাধ্যমে ফুসফুসের টিস্যুকে তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যার ফলে শ্বাসকষ্ট হয় ও শ্লেষ্মা জমে।

চিকিৎসকদের মতে, করোনায় আক্রান্ত হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (ব্রিদিং এক্সারসাইজ) করলে শ্বাসনালী পরিষ্কার হতে পারে এবং ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা বাড়তে পারে।

কিন্তু তাই বলে করোনা রোগীদের জন্য সকল ব্রিদিং এক্সারসাইজই উপযুক্ত এটা ভাবা যাবে না। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে কিছু ব্রিদিং এক্সারসাইজ থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এসব এক্সারসাইজ করলে শ্বাসতন্ত্রে অত্যধিক চাপ পড়ে, শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় এবং অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হয়। এখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে চর্চা করা উচিত নয় এমন তিনটি ব্রিদিং এক্সারসাইজ সম্পর্কে বলা হলো।

* কপালভাতি প্রণায়াম

এই এক্সারসাইজ শরীরে তাপ উৎপাদন করে, যা বিষাক্ত পদার্থ ও বর্জ্য দূরীকরণে সাহায্য করে। এটি বিপাকীয় হার বাড়ায় এবং লিভার ও কিডনির কার্যক্রমে উন্নতি আনে। এটা হলো অ্যাডভান্সড ব্রিদিং টেকনিক, যা অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহে প্রচুর চাপ ফেলে। তাই এটি সেসব রোগীদের জন্য উপযুক্ত নয় যারা হাঁপানি, শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা ও হৃদরোগে ভুগছেন।করোনায় আক্রান্ত হলে (বিশেষত তীব্র অসুস্থতায়) এই এক্সারসাইজ করলে শ্বাসকষ্ট ভয়াবহ হতে পারে ও মাথাঘোরাতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ ও আলসার থাকলেও কপালভাতি প্রণায়াম পরিহার করা উচিত।

* মূর্ছা প্রণায়াম

এই এক্সারসাইজে ধীরে ধীরে শ্বাস নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে রাখা হয়। মূর্ছা প্রণায়াম হলো আরেকটি অ্যাডভান্সড ব্রিদিং টেকনিক, যা চেতনা হারানো বা ভেসে থাকার অনুভূতি দিতে পারে। এই এক্সারসাইজটি করলে পরমসুখে আচ্ছন্ন হওয়া যায়। কিন্তু এটি সকলের চর্চার জন্য উপযুক্ত নয়। বেসিক ব্রিদিং এক্সারসাইজে দক্ষতা অর্জনের পর এটা করতে হয়। করোনা রোগীদের মূর্ছা প্রণায়াম এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে, কারণ শ্বাস ধরে রাখলে মাথাঘোরার প্রবণতা বাড়তে পারে। এটি ফুসফুসকেও বাড়তি চাপে রাখে, যার ফলে সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাহত বা বিলম্বিত হতে পারে।

* ভাস্ত্রিকা প্রণায়াম

ভাস্ত্রিকা প্রণায়ামকে দেখতে কপালভাতি প্রণায়ামের মতো মনে হলেও উভয়েই কিন্তু ভিন্ন। এই এক্সারসাইজে দ্রুত শ্বাসগ্রহণ করে দ্রুত শ্বাস ছাড়তে হয়। এটা একটি সরল ব্যায়াম হলেও শরীরে খুব বেশি তাপ উৎপাদন করে এবং ফুসফুসকে খুব বেশি চাপে রাখে। ভাস্ত্রিকা প্রণায়াম চর্চা করলে সুস্থ মানুষের পর্যন্ত মাথাঘোরাতে পারে ও খাবি খেতে পারে। একারণে করোনা রোগীদের এক্সারসাইজটি থেকে বিরত থাকতে জোরালো পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এমনকি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও এটা চর্চা করা উচিত নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *