ডাচ বাংলা ব্যাংক কী? আমাদের কি কাজে লাগে এবং এর সুবিধা কী-ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যালেন্স চেকডাচ বাংলা ব্যাংক এর সুবিধা-লিমিটেড বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। এটি এম. সাহাবুদ্দিন আহমদ (বাংলাদেশ) এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য ডাচ্ ফিনান্সিং সংস্থা নামক নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা পায়। এটি ব্যাংকিং সেবা দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং কোম্পানি আইন ১৯৯৪ দ্বারা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসাবে নিবন্ধিত হয়। ডিবিবিএল আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ৩ জুন, ১৯৯৬ সালে। ব্যাংকটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এ ২০০৪ সালে নিবন্ধিত। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ধরন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি শিল্পব্যাংকিং প্রতিষ্ঠাকাল১৯৯৫। প্রতিষ্ঠাতাএম. সাহাবুদ্দিন আহমদ এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য ডাচ্ ফিনান্সিং সংস্থাসদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ। আরে:- সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি লেনদেন ২০২২ | Sonali Bank Scholarship – 2022 for SSC and HSC বর্তমানে সারা দেশে এই ব্যাংকের প্রায় ৪৭৭৪ টি এটিএম বুথ (দেশের সর্ব বৃহত এটিএম নেটওর্য়াক) রয়েছে। এছাড়া ব্যাংকটির প্রায় ৪৫০০ টি এজেন্ট বাংকিং অফিস এবং ১১০০ টি ফার্স্ট-ট্রাক রয়েছে। ব্যাংকটির বর্তমানে শাখার সংখ্যা ২১০ টি। ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং “ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংক” চালু করে ৩১ মার্চ ২০১১ সালে।যেটি বর্তমানে রকেট নামে পরিবর্তন করা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ’বিকাশ’ এবং ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংক ‘রকেট’। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়মঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে মূলত একটি ফরম পূরণ করতে হবে। প্রথমে আপনাকে এই বিষয়ে সিলেক্ট করে নিতে হবে যে আপনি আসলে ডাচ বাংলা ব্যাংকের কোন ধরনের একাউন্ট খুলতে চান। প্রয়োজনীয় সমস্ত ডকুমেন্ট জোগাড় করুন। ফরম পূরণ করে নিন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি যে রেফারেন্সকৃত ব্যক্তির সহযোগিতায় একাউন্ট খুলতে চান, ওই ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে যাবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগেঃ সাধারণত ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্টে থাকে দুই ধরণের একাউন্ট খোলার সুযোগ। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অধীনে আপনি যে দুই ধরণের একাউন্ট খুলতে পারবেন সে দুই ধরণের একাউন্টের নাম হলোঃ-
উক্ত দুই ধরনের ডাচ বাংলা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের জন্য আপনাকে অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন রকমের ডকুমেন্ট কতৃপক্ষকে প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি একাউন্ট খোলার কাজ সম্পাদন করতে হবে। ডাচ বাংলা ব্যাংক এর অধীনে একটি স্টুডেন্ট account এর জন্য যে যে ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলি হলোঃ- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। আপনার সর্বশেষ স্কুল,কলেজ সার্টিফিকেট কিংবা ভর্তির ফরম অথবা বেতনের যেকোনো একটি সিট। (মনে রাখতে হবে এক্ষেত্রে আপনি যদি অনার্স পড়ুয়া স্টুডেন্ট হোন তাহলে; উক্ত ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে না।) একাউন্টের কার্যক্রম শুরু করার জন্য আপনার একজন নমিনি এর প্রয়োজন হবে। যাতে করে আপনার মৃত্যুর পর উনি টাকা তুলতে পারে।(এক্ষেত্রে লাগবে নমিনি হিসেবে নির্বাচন করা ব্যাক্তির এনআইডি কার্ড এবং এক কপি ছবি) রেফারেন্সের জন্য পূর্বে যার ডাচ-বাংলা এর অধীনে ব্যাংক একাউন্ট ছিল; সেই রকম একজন ব্যক্তির প্রয়োজন হবে। সে আপনার রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। (এক্ষেত্রে অবশ্যই ওই ব্যক্তির এনআইডি কার্ড এবং এক কপি ছবি প্রয়োজন হবে) একটি সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে সে সম্পর্কেঃ- ১. প্রথমত আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে। ২. ব্যবসা করলে আপনি আপনার যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স এর একটি কপি তাদেরকে দিবেন। ৩. ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ৪. নমিনির আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং ছবি ৫.রেফারেন্স হিসেবে নির্বাচিত ব্যক্তির এনআইডি কার্ডের ফটোকপি এবং তার একটি ছবি আপনাকে দিতে হবে। উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলো নিকটস্থ ব্রাঞ্চে প্রদান করলেই আপনি একাউন্ট খোলার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট ব্যালেন্স চেকঃ ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি আপনার ব্যালেন্স চেক করার সুযোগ পাবেন। মূলত ৩ টি উপায়ে আপনি আপনার ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। সেগুলি হলোঃ- ১. নিকটস্থ এটিএম বুথঃ ব্যালেন্স চেক করার সময় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের যে নেক্সাস পে কার্ড রয়েছে সেটি নিয়ে যেতে হবে। তারপর এটি এটিএম বুথে লোড করতে হবে। পরবর্তীতে আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড দেয়ার জন্য রিকমেন্ড করবে এবং এখানে আপনার নেক্সাস পে কার্ড এর পাসওয়ার্ড দিয়ে তারপর একসেস নিতে হবে। পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরে এটিএম বুথ এর বাম পাশে থাকা ব্যালেন্স স্টেটমেন্ট এর পাশে থাকা বাটনে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর আপনার অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট দেখতে পারবেন। ২.ডাচ বাংলা ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং একাউন্টঃ এক্ষেত্রে আপনাকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগইন করা সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টের সমস্ত মিনি স্টেটমেন্ট দেখতে পারবেন। |