খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয় উপায়

খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয় উপায়

খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয় উপায় আবহাওয়া বা ঋতুতে পরিবর্তনের সাথে আসে বিভিন্ন রোগের প্রভাব। বর্ষায় বাতাসে জন্ম নেয় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া।

ফলে একটু এদিক-ওদিক হলেই সর্দি ও খুসখুসে কাশি হয়ে থাকে। এমনও হয় যে, খুসখুসে কাশির কারণে সারারাত ঘুমাতে পারেন না। এটি আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে হতে পারে, অথবা যেকোনো রকমের খাদ্য বা পানীয়ের কারণে হতে পারে।

এছাড়াও অ্যালার্জি, অ্যাজমা, এসিড রিফ্লাক্স, শুষ্ক আবহাওয়া, ধূমপান, এমনকি কিছু ওষুধ সেবনের ফলেও কাশির সমস্যা তৈরি হতে পারে। ওষুধ না খেয়েও একটু সচেতন হলে ঘরোয়া উপায়েও এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

আসুন জেনে নিই খুসখুসে কাশি সারানোর ঘরোয় উপায়-

মধু : প্রতিদিন ১-৩ বার এক টেবিল চামুচ করে মধু খান। সবচেয়ে ভালো হয় ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিলে। মধুর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান কাশি প্রতিরোধে কার্যকর।

আদা : আদার অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান গলার অস্বস্তিকরভাব দূর করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক কাপ আদা চা পান করতে পারেন। এছাড়া এক কাপ পানিতে আদা কুচি জ্বাল দিয়ে দিনে ৩-৪ বার পান করে দেখুন, শুষ্ক কাশি কমে যাবে।

রসুন : রসুন খুসখুসে কাশি সারাতে দারুণভাবে কাজ করে। রসুনে থাকা এক্সপেকটোরেন্ট এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কাশি উপশমে কাজ করে। এক চা চামুচ ঘিয়ে রসুনের পাঁচটি কোয়া কুচি করে হালকা ভেজে কুসুম গরম অবস্থায় খেয়ে নিন।

তুলসি পাতা : তুলসি পাতার রস শুকনো কাশির জন্য খুবই কার্যকরী। সকালে খালি পেটে তিন থেকে চারটি তুলসি পাতার রস খেতে পারেন। তা ছাড়া তুলসি পাতা ফুটিয়ে চা তৈরি করে পান করতে পারেন। আবার শিশুদের জন্য কয়েকটি তুলসি পাতার রসের সাথে একটু আদার রস ও মধু দিয়ে খেলে খুব উপকার পাবেন।

হলুদ : কাশি নিয়ন্ত্রণে হলুদ রীতিমতো ঐতিহাসিক ঘরোয়া উপাদান। এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়া এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি দ্রুত কাশি কমাতে সাহায্য করে।

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার : ভিনেগারের ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এক কাপ কুসুম গরম পানিতে দুই চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সাথে এক চা চামচ মধু মেশান। এইবার এই পানীয়টি দিনে দুই তিনবার পান করুন। এক দুই সপ্তাহ পান করুন। দেখবেন বুকের কফ অনেক কমে গেছে।

গার্গল করা : গার্গল করলে গলাব্যথা কমে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে ১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন। এভাবে বিরতি দিয়ে কয়েকবার করুন। এটি কাশি কমাতে বেশ কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি।

গরম পানির ভাপ নিন : ফুটন্ত গরম পানিতে মেন্থল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মাথার উপর একটি টাওয়েল দিয়ে বড় করে দম নিয়ে গরম পানির ভাপ নিন। এভাবে অন্তত ১০ মিনিট করে দিনে ২ বার করুন। গরম পানির ভাপ নিলে বুকে কফ জমতে পারে না এবং সহজেই বের হয়ে আসে।

চিকিৎসকের পরামর্শ : কাশির সমস্যা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। তবে যদি দীর্ঘ সময় ধরে আপনার কাশি থাকে, তবে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *