দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল এক বোনের লেখা কতটা সুন্দর..❤️
আমার বিয়ের জন্য আমি দুইটি শর্ত নিজের উপর আরোপ করেছিঃ
১.আমার পর্দা মেইনটেইন করতে হবে।
২. বিয়েটি সামাজিক ভাবে না হয়ে শারী‘য়াহ্ অনুযায়ী হবে।
কথা থাকবেঃ
*কোনো ছবি দেওয়া নেওয়া হবেনা।
* মেয়ে দেখতে ছেলে, মা ও বোন ছাড়া আর কেউ যাবে না।
*ছেলের বাবাও বিয়ের আগে দেখতে পারবেন না।
* কোনো রেষ্টুরেন্টে মেয়ে দেখার আয়োজন হবে না।
হিজাব পড়া পিক – কালো বোরকা পড়া পিকচার ডাউনলোড করুন এখানে
* গায়ে হলুদ হবে না।
* বাড়ি লাইটিং হবে না।
*গান,নাচ হবেনা।
* আক্বদ অনুষ্ঠান হবে না।
*বিয়ে হবে শুক্রবার আছরের পরে।
*বিয়ে হবে মসজিদে।
*কোনো গেট ধরা/শালা শালীর মজা করা হবেনা।
*কেউ ছবি তুলতে পারবেন না।
* বিশাল অংকের মোহর হবে না।ছেলের সাথে আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে।
*কাবিনের টাকা ছেলের ইনকামের হালাল টাকা হবে।
*কাবিনের টাকা বিয়ের দিন মেয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
* বর যাত্রীর নামে একজনেরও ভুঁড়িভোজ হবে না।
* আক্বদের পর বউ নিয়ে যাওয়া হবে।
*ছেলের বাড়ি নিয়ে ছেলে চাইলে সাজব বিয়ের সাজে।তবে সেটা ছেলের মা বাবা বোন আর ছেলে দেখবেন।
*বউকে মূর্তির মত স্টেজে বসানো যাবে না।
*বউভাত চাইলে ছেলে করতে পারবেন।
* যৌতুকের অভিশাপ হিসাবে একটি সুতা ও একটি লাকড়িও যাবে না ইনশাল্লাহ।কারণ আমি চাইনা আমার হাসবেন্ড আমাকে পণ্য মনে করুক।উলটা তারা আমাকে ভালোবেসে ঘরে তুলবেন।এখানে দেওয়া নেওয়ার হিসাব চলবে না ইনশাল্লাহ। দিনশেষে আমরা একই পরিবার।
* সেই রাতেই ওয়ালীমাহ্ হবে।
* বিয়ে উপলক্ষে আমার বাবার একটি টাকাও খরচ হবেনা।ছেলেদের মত থাকলে হালকা আয়োজন করা হবে শুধু কাছের আত্মীয়রা থাকবে।
*আমার শ্বশুর আমাকে কি দিচ্ছে এবং কয় ভরি স্বর্ণ দেয়া হবে তা জানতে চাওয়া হবেনা।তাদের ছেলের বউ কীভাবে সাজাবেন সেটি তাদের বিষয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, বিয়ের আলোচনায় কোনো পক্ষের তৃতীয় কোনো ব্যক্তি থাকবেনা।সব আমার বাবা এবং ছেলের বাবা কথা বলে ঠিক করবেন।
সংগৃহীত
আমরা যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিবাহ করতে চাই, আমাদেরও এমন দৃঢ় প্রত্যয় রাখা উচিত।আর সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি ঠিক এভাবেই বিয়ে করতে পারি।আল্লাহ আমাকে যেন কবুল করে নেন।
আমিন।🤍🌻
আমার এরকম মেয়ে চাই যদি কেউ রাজি থাকের আমাকে জানাবেন আমি বিয়ে করবো এরকম মেয়ে পেলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ যেন আমাকে দেন এরকম একটা মেয়ে বিয়ে করার জন্য কবুল করে।