নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো শ্রেণিতে পরীক্ষা থাকবে না। আর নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যের মতো বিভাজন থাকবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এতোদিন এসএসসির পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো নবম ও দশম শ্রেণির কারিকুলামে। ২০২৩ সাল থেকে শুরু করা কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির কারিকুলামেই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিমার্জিত কারিকুলামের খসড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। শ্রেণিকক্ষেই পাঠদান সম্পন্ন করার ব্যবস্থা রেখে পরিমর্জিত কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আসছে। পঞ্চম শ্রেণি সাময়িকী পিইসি, অষ্টম শ্রেণি সাময়িকী জেএসসি নামে পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত এসেছে। পাশাপাশি নবম ও দশম শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা নামে বিভাগ তুলে দেয়া হচ্ছে। একটি সমন্বিত পাঠ্যক্রম থাকবে এই পর্যায়ে।
তিনি আরো বলেন, দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০টি বিষয় ঠিক করা হয়েছে। সেগুলোই সবাই পড়বে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে গিয়ে ঐচ্ছিক বিষয়গুলো পড়বে শিক্ষার্থীরা। অর্থাৎ বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্যে বিভাজন হবে উচ্চমাধ্যমিক থেকে।
এখন থেকে তিনটি পাবলিক পরীক্ষা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি শেষে পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা। দশম শ্রেণি সমাপনী পরীক্ষা এসএসসি আর একাদশ ও দ্বাদশ সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল মিলিয়ে প্রকাশ করা হবে এইচএসসির ফল।
তিনি আরো জানান, নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে আগামী বছর। এক্ষেত্রে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি আর মাধ্যমিকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হবে। আর প্রয়োগ শুরু হচ্ছে ২০২৩ সালে। ২০২৫ সাল নাগাদ প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সকল শ্রেণিতে নতুন পাঠ্যক্রম প্রয়োগ শুরু হবে। নতুন পাঠ্যক্রমে নবম ও দশম শ্রেণির বিভাজন আর থাকছে না। তাদের কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।