দেশে বছরজুড়ে যে ফলগুলো খুব সহজেই পাওয়া যায় কমলা তার মধ্যে অন্যতম। অত্যন্ত পুষ্টিকর কমলা খেতেও বেশ সুস্বাদু। তাইতো এর চাহিদাও অনেক। ছোট থেকে বড় সবারই পছন্দের তালিকায় থাকে এ ফলটি। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম রয়েছে কমলার রসে। এছাড়া আরো অনেক উপাদান রয়েছে এ ফলটিতে।
পুষ্টিবিদরা বলেছেন, এই ফলটি একসঙ্গে অনেক সমস্যার সমাধান দেয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ডায়াবেটিস, মস্তিষ্ক গঠন, ওজন কমাতে সাহায্য করে কমলা। তবে যাদের হাই পটাশিয়াম যুক্ত খাবারের ওপর নিষেধ আছে তাদের অবশ্যই পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে কমলা খাওয়া উচিত। মনে রাখবেন এ ফলটি বেশি খেলে পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া বা বদহজম হতে পারে।এ
বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য নিয়ে কমলা যেসব সমস্যার সমাধান দেয় তা তুলে ধরা হলো-
১. যাদের কিডনিতে পাথরের সমস্যা রয়েছে তারা খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এ ফলটি। তবে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে খাবেন। তাতে সমস্যার সমাধান হবে অনেকটাই।
২. কমলাতে আছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি এবং হেসপিরিডিন যা উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে থাকা ফ্ল্যাভনোয়েড শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৩. প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকায় নানা ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কমলা।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ ভূমিকা রাখে কমলা। ত্বক, মুখের ভেতর, স্তন, ফুসফুস, পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে কমলা। গবেষকরা বলছেন, এ ফলটিতে আরো একটি উপাদান রয়েছে। যার নাম লিমোনেন। এই উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই উপযোগী।
৫. যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে খেতে পারেন এ ফলটি। কমলাতে রয়েছে ভিটামিন সি, কোলিন, পটাশিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার যা অ্যাথমিয়া এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় অনেকটাই।