শীতে পা ফাঁটা নতুন কিছু নয়। এ সময় মুখে টান ভাব বা চুলের শুষ্কতার পাশাপাশি পা ফাটাও অস্বস্থিকর। সারাবছর অনেকে পার্লারে গিয়ে পায়ের যত্ন নেন। কিন্তু শীতকালে ঘরেই নিতে হয় পায়ের বাড়তি যত্ন।
ধুলোবালির সংস্পর্শেও বেশি আসে পা। তাই পায়ে মখমলে ভাব ফিরিয়ে আনতে নিতে হয় বাড়তি যত্ন…
প্রতিদিন গোসলের পর পায়ে ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নিন। জুতো পরার আগে ভালো করে ক্রিম মেখে পরিস্কার মোজা পরতে হবে। তাতেই সুস্থ থাকবে পায়ের গোড়ালি।
প্রতিদিন কাজের শেষে বাড়িতে ফিরে অন্তত ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন শ্যাম্পু মেশানো উষ্ণ জলে।
প্রতিদিন তুলে পামিস স্টোন বা ঝামাপাথর দিয়ে ঘষে নিয়ে একবার পা ধুয়ে নিন। তারপর ক্রীম মেখে নিন।
প্রতিদিন রাতে সোয়ার সময় ডিপ ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নিন।
প্রতিদিন পায়ের ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করতে হবে। মধু, লেবুর রস, দুধের সর, চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি ঘরোয়া স্ক্রাব লাগাতে পারেন। এরপর পা ঘষে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফুটো করে তেলটা পেট্রোলিয়াম জেলির সঙে মিশিয়ে পায়ে লাগাবেন। রাতে প্রতিদিন এই মিশ্রণটি লাগিয়ে মোজা পড়ে ঘুমালে পব দারুণ নরম থাকবে।
মোমবাতির মোমের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে তা ফাটা স্থানে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা সেরে যাবে। এ সমস্যা সমাধানে তিলের তেলও দারুণ কার্যকর।
প্রতিদিন পা পরিস্কার করে অ্যালোভেরা জেল আর অলিভ অয়েলের একটা মিশ্রণ পুরো পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন। পায়ে মখমলে ভাব আসবে সহজেই।
এছাড়াও শীতের কয়েকটা মাস পা ঢেকে চলুন। আস্থা রাখতে পারেন পিপ টো, ব্যালেরিনা, মোজরি বা পাম্প শ্যুর উপর। স্নিকার্সও হতে পারে ভালো অপশন।