আমাদের পছন্দের পানীয় কফি। এটির স্বাস্থ্যগুণও কিন্তু কম নয়। কফিকে বলা হয় শতাব্দীর সেরা সুপারফুড। সুপারফুড হলো সেসব খাদ্য, যাদের বিশেষ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপাদান রয়েছে, পাশাপাশি ক্ষতিকর দিক খুবই কম।
শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের সবচেয়ে বড় উৎস কফি। নিয়মিত কফি পানে-
- মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
- ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
- কফি পানে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার শঙ্কা ৫০ ভাগ কমে যায়।
তবে কফি খাওয়া নেশায় পরিণত হলে দেখা দিতে পারে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যেমন-
- সকালে খালি পেটে কফি খেলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণে এই অ্যাসিড জমলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
- কফির বীজে ক্যাফেইন ও অন্যান্য অম্লীয় উপাদান থাকে যা পাকস্থলীর গায়ে ক্ষত সৃষ্টি করে আলসার, গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষম ব্যহত হতে পারে।
- কফি শরীরে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করলেও এটি স্নায়ুদতন্ত্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে৷ দীর্ঘদিন ধরে একটানা প্রচুর পরিমাণে কফি পানে আমাদের স্বাভাবিক উদ্দীপনাও নষ্ট হতে পারে।
দিনে তিন কাপ কফিতেই সন্তুষ্ট থাকুন। আর বাড়তি ওজনের চিন্তা থাকলে কফির সঙ্গে দুধ-চিনি যোগ না করে শুধু রং কফি পানের অভ্যাস করুন।
অতিরিক্ত কফি পান করলে, অস্থিরতা, অস্বস্তি দেখা দেওয়ার পাশাপাশি হৃদস্পন্দনও বেড়ে যেতে পারে। তাই পরিমিত কফি পান করে সুস্থ থাকুন।