যে ১৫ খাবারে মুক্তি মিলবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা

গ্যাস্ট্রিক বা পেটে গ্যাসের সমস্যা আজ কাল নতুন নয়। একটু ভাজাপোড়া বা মসলাযুক্ত খাবার খেলে শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা। আর এই সমস্যায় ভোগেন না এমন লোক খুব কমই আছেন। দিন দিন এই সমস্যা বেড়েই চলেছে।

কালের কণ্ঠ আজকের রাশিফল
লঞ্চ কবে থেকে চলবে ২০২১
গ্যাস্ট্রিক জুস ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণকারী

কম বেশি ছোট-বড় সবারই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। সঙ্গে সবসময় গ্যাস্ট্রট্রিকের ওষুধ রাখতে হয়। নিয়মিত ওষুধ খেয়েও রেহাই মিলছে না এই সমস্যা থেকে। আবার এর রয়েছে নানান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে অন্যান্য সমস্যা ডেকে আনছেন। তবে কিছু ঘরোয় উপায় আছে যেগুলো প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।

তাই পেট থেকে গ্যাস দূর করে জেনে নিন এমন ১৫টি খাবারের নাম-

ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলীর গ্যাসট্রিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডি দূরে থাকে।

পাকা পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পাকা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।

টকদই : টকদই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।

আমড়া : টুকরো করে রোদে দিয়ে খান কাজে দেবে। পেটে গ্যাস ও বদহজমজনিত সমস্যা সমাধানে আদা খুব উপকারী। খাবারে আদা যোগ করে বা কিছু পরিমাণ।

কমলা : লেবু খেলে অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই কমলা খেতে পারেন। ভিটামিন সি যুক্ত এই ফল পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।

কলা : কলা খেলে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার স্যালুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটো কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।

আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।

দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে দুই থেকে তিন বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।

জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুঁড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।

লবঙ্গ : লবঙ্গ নিমিষেই আপনার গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়া খেলে অম্বল দূরে থাকে।

খাবারে সরিষা যোগ করুন : সরিষা গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে সরিষা যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে।

পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে পাঁচটি পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।

মৌরির পানি : মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *