বড়লোক হওয়ার শর্টকাট পদ্ধতি
ছয় প্রকার নারীকে বিয়ে করা উচিত নয়
“কোন এক গ্রামে অনেক বানর ছিল। একদিন সেখানে এক দরবেশ বাবার আবির্ভাব ঘটল। উনি তার বিশাল শাগরেদ দল নিয়ে গ্রামে আস্তানা গাড়লেন।শাগরেদ শব্দের বাংলা অর্থ (শিষ্য, ভক্ত, ছাত্র বা চেলা ) প্রথমদিনেই দরবেশের শাগরেদগন ঘোষণা দিলেন, যে বাবা বানর কিনবেন, প্রতিটি বানর ১০ টাকা করে। . ১০ টাকার জন্য কে আর বানরের পিছনে দৌড়াবে। তারপরও যাদের কিছু করার নেই, তারা কিছু বানর ধরে এনে বাবাকে দিলেন। কিছুদিন পড়ে বাবা ঘোষণা দিলেন উনি বানর ১০০ টাকা করে কিনবেন। এবার অনেকই নড়ে বসলেন। অনেকেই বানর ধরলেন এবং বাবাকে বিক্রি করলেন। . আরও কিছুদিন পর বাবা ঘোষণা করলেন তিনি এখন বানর ৫০০ টাকা করে কিনবেন।করোনা ভাইরাস নিয়ে সাধারণ জ্ঞান ২০২২ পুরো গ্রামে হুলুস্থুল পড়ে গেল। কৃষক মাঠ ফেলে, বাচ্চারা স্কুল ফাকি দিয়ে, গৃহিণী চুলোর আগুণ নিভিয়ে, সবাই বানর ধরাতে ব্যস্ত হয়ে গেলো। . বাবা বানরের দাম আরও বাড়িয়ে দিলেন। এখন ১০০০ টাকা। গ্রামের লোকেরা এখন আর কিছু করে না। তার শুধুই বানর ধরে আর বাবাকে বিক্রি করে। এভাবে ভালই চলছিল, কিন্ত গ্রামে বানর শেষ। সব বানর বাবার খাঁচায়। গ্রামের লোক পাগলের মত চারিদিকে বানর খুঁজে বেড়ায়।। কিন্তু বানর আর পায়না। . এর মাঝে বাবার কিছু চালাক শাগরেদ চুপি চুপি লোকদের বলল, তারা বাবার খাঁচা থেকে বানর বের করে দিতে পারবে। বিনিময় মাত্র ৯০০ টাকা। সবাই আবার হুড়মুড় করে পড়ল শাগরেদ দের থেকে বানর কেনবার জন্য। কোন পরিশ্রম ছাড়াই, ঘরে বসে এত লাভ! এর চেয়ে ভাল ব্যবসা আর হয় নাকি। তারা শাগরেদদের থেকে বানর কেনে আর বাবাকে ১০০০ টাকায় বিক্রি করে। নগদে ১০০ টাকা লাভ। . কিছুদিন পর বাবা ঘোষণা দিলেন তিনি এখন বানর ২০০০ টাকা করে কিনবেন। শাগরেদরাও দাম বাড়িয়ে দিল। তারা এখন প্রতি বানর ১৮০০ টাকা করে বেচে। তারপরও লোকের চাহিদা মেটাতে পারেনা। . এবার বাবা দাম বাড়িয়ে ৫,০০০ টাকা করলেন। লোকেতো এখন পাগল প্রায়। শাগরেদরা এখন বানর ৪,০০০ টাকা করেছে। শাগরেদরা এখন লোককে বলতে লাগল, যে বানর কিনে নিয়ে যাও, তবে এখনই বিক্রি করে দিয়োনা। আর কিছুদিন পরেই বাবা ১০,০০০ টাকা দিয়ে বানর কিনবে। এবং তাদের কাছে গোপন সংবাদ আছে যে বাবা বানর সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা দিয়ে কিনবেন। . আর পায় কে। সবাই তাদের জমান টাকা ভেঙ্গে,মহিলারা তাদের গহনা বিক্রি করে, বয়স্করা তাদের পেনশানের টাকা তুলে, যুবকেরা পড়া লেখা বাদ দিয়ে, ব্যবসায়িরা ব্যবসার মুলধন ভেঙ্গে ৪,০০০ টাকা করে বানর কিনে স্টক করলো। অনেকে জমিজমাও বিক্রি করে দিলেন। সবাই বানর কিনছেই আর কিনছে। বিক্রি করেনা। . এদিকে বাবাও দাম বাড়িয়ে চলছেন । ১০,০০০, ১৫,০০০, ২০,০০০। কিন্তু কেউ এখন বিক্রি করবেনা। সবাই অপেক্ষা করছে কখন ৫০,০০০ টাকার কাছকাছি যাবে। পুরো গ্রামে উত্তেজনা। এই বুঝি বড়লোক হেয় গেলাম। যারা বানর কিনেনি তাদের নিয়ে লোকজন হাসাহাসি করে, ঈশ কত বোকা!! . একদিন সকালে করে তারা দেখল বাবার আস্তানা খালি। বাবা আর তার সাগরেদরা তাদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে গায়েব। পুরো গ্রাম এখন শুধুই বানর।
দ্রুত ধনী হওয়া বা অল্প সময়ে প্রচুর অর্থ উপার্জনের সত্যি কি কোনো শর্টকাট উপায় আছে?
ধনী হওয়ার বা কোটিপতি হবার ইচ্ছে সকল মানুষেরই থাকে। কিন্তু সবাই ধনী হতে পারে না, কেউ চেষ্টা করে সফল হয় কেউবা বৃথা চেষ্টা করে যায়। সঠিক উপায় জানা না থাকায় ধনী হওয়ার সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারে না তারা। ধনী হওয়ার জন্য কায়দা-কানুন জানতে হয়, কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। সঠিক পদ্ধতি বা কায়দা-কানুনের প্রয়োগ করতে পারলে আপনি সহজে ধনী হতে হতে পারবেন।
ধনী হওয়ার আরও নানা উপায় আছে। এ জন্য আপনার অপরিসীম লোভ ও টাকার ক্ষুধা থাকতে হবে। লাজ, লজ্জা, ভয়, বিবেকের দংশন বিসর্জন দিতে হবে। প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ধরা পড়লে বা ফেঁসে গেলে কী হবে? তেমন কিছুই না! বড় জোর দু-চার বছরের জেল। তবে চিন্তার কিছু নেই শুধু জেল থেকে বের হয়ে কিছু দান-খয়রাত করলেই হলো। সবাই বলবে আহা বেচারাটাকে কেউ ফাঁসিয়ে দিয়েছিলো।
যাবজ্জীবন হলেই বা ক্ষতি কী? একদিন তো মরেই যাবেন!