দৈনিক ৩০ মিনিট সময় দিয়ে আপনিও হতে পারেন মেদহীন গ্লোবালাইজেশনের এই সময়টাতে ছোটাছুটি বা দৌড়ঝাঁপ আছে এমন পেশা দিনকে দিন কমছে কর্পোরেট অফিসগুলোতে। এক জায়গাতে বসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা কাজ করার ফলে শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রম হচ্ছে না। এতে বাড়ছে পেটের চর্বি। যদিও অনেকে বলে থাকেন, খুব কম খাওয়া দাওয়া করেন অথচ ক্রমশ বাড়ছে পেটের আয়তন।
কারণ সে যাই হোক, পেটকে স্লিম রাখতে কে না চায়! কিন্তু জিমে যেতে বা যোগ ব্যায়ামে আলসেমির জন্য পেটে রাজত্ব চলতে থাকে চর্বির। ইচ্ছে থাকলেও পেটের মেদ বহাল তবিয়তেই থেকে যাচ্ছে। তাই মেদ দূর করতে চাই সদিচ্ছা। সঙ্গে চাই খানিকটা ধৈর্য। সারাদিনে অন্তত ৩০ মিনিট নিয়ম করে কিছু ব্যায়াম করতে হবে। তা হলে কয়েক মাসের মধ্যে স্থুল পেট কমে আপনি হয়ে উঠবেন আকর্ষণীয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী ব্যায়াম করবেন-
১. প্রথমেই পেটের ব্যায়াম করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে পেটের মাংসপেশিগুলো কিংবা কোর মাসলের উপর যেনো চাপ পড়ে। এই চাপ পেটের চর্বি কমাতে দারুণ সহায়ক। প্ল্যাঙ্ক বা সিট-আপ করার সময়টাতে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে ঘাড় বা পায়ে অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। এতে ভুড়ি তো কমেই না উল্টো ঘাড়ে, পিঠে, কোমরে ব্যথার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়।
২. মেদহীন পেট রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে জগিং বা স্পট ওয়াকিং করা দরকার। অনেকেরই একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে, সেটা হলো স্পট রিডাকশন বা শরীরের যে কোনো একটা জায়গা থেকে মেদ কমানো। এভাবে মেদ কমিয়ে কোনো লাভ হয়না। যদি না নিয়মিত ব্যায়াম না করেন। এছাড়া দেশিয় বা ধ্রুপদী নাচ, জুম্বা ড্যান্স, অ্যারোবিকস করতে পারেন। সাঁতার খুব ভালো কার্ডিও ব্যায়াম। করোনাকালে যদি সাঁতার করা সম্ভব না হয়, তাহলে সাইক্লিং করতে পারেন।
৩. শরীরের ওজন কমাতে অবশ্যই মেটাবলিজম রেট বাড়াতে হবে। এর জন্য ওয়েট ট্রেনিং করতে হবে। তবেই তৈরি হবে মাংসপেশি। প্রথমদিকে সাধারণ ব্যায়াম করার সময় কিছু ওয়েট নিন। এই ওজনে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ধীরে ধীরে ওজন বাড়িয়ে দিন। ভুলেও হুটহাট ওজন বাড়িয়ে দেবেন না । তবে ওয়েট ট্রেনিং মানেই বাড়িতে প্রচুর ডাম্বল কিনে রাখবেন এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। প্রাথমিকভাবে ৫০০ মিলি লিটারের পানির বোতল দিয়েও শুরু করতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে ১ লিটার তারপর আরো বেশি।
৪. পরিকল্পনা ছাড়া ডায়েট করলে পেটের মেদ কমবে না। টানটান পেট পেতে হলে ডায়েট হতে হবে বিজ্ঞান সম্মত। দিনে ৫-৬ বার খান। প্রত্যেকবারই অল্প পরিমাণে। খাবারে ফাইবার বেশি রাখুন। বেশি বেশি ফল ও সবজি কান। চিনি আর ময়দা ডায়েট থেকে দূরে রাখুন। বেশি বেশি পানি পান করুন।