শীতে পেয়ারা খাওয়া যে কারণে জরুরি

ফলের মধ্যে অন্যতম একটি পেয়ারা। অনেকেরই প্রিয় এই ফলটি। সবুজ মিষ্টি এই ফলটি খেতেই যে সুস্বাদু তা কিন্তু নয়, রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপাকারিতাও। পেয়ারাকে পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা হয়।

এতে রয়েছে ভিটামিন সি, লাইকোপিন এবং ভিটামিন এ। এই উপাদানগুলো ত্বকের জন্য খুব উপকারী, ফাইবার, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দরকারি। পেয়ারায় রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, যা দেহকে খাবার থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেয়ারায় আছে ফোলেট নামে খনিজ যা প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

এতে থাকা পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পেয়ারাতে প্রায় ৮০ শতাংশই পানি, যা আপনাকে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে। তাই শীতে পেয়ারা খুবই দরকারি এক ফল।

কালো পেয়ারা
পেয়ারা পাতার রোগ
পেয়ারা উৎপাদন প্রযুক্তি
আঙুর পেয়ারা
থাই ৮ পেয়ারা
থাই বারোমাসি পেয়ারা
থাই পেয়ারার চাষ পদ্ধতি
পেয়ারা ঝরে পড়ার কারণ ও প্রতিকার

চলুন জেনে নেয়া যাক পেয়ারার আরো কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা-

১. প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রেও উপকারী পেয়ারা। এতে থাকে ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি-৯, যা অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য উপকারি। গর্ভস্থ শিশুর নার্ভ সিস্টেম ঠিক রাখে এবং স্নায়বিক রোগ থেকে ভ্রূণকে রক্ষা করে। এছাড়াও, এই ফলের মধ্যে উপস্থিত বি-ভিটামিন কোষগুলোকে বিভক্ত হতে দেয় এবং ভ্রূণের জন্য ডিএনএ এবং জিনগত উপাদান তৈরি করে।

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে প্রতিরোধও করে এই ফলটি। পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, যা ডায়াবেটিস রোধ করে। ফাইবার ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক রাখে। পেয়ারা পাতাও সমান উপকারী। পেয়ারা পাতার চা খেলে ব্লাড সুগার লেভেল কম থাকে।

৩. পেয়ারা শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে। ভিটামিন সি-এর উৎস হল পেয়ারা। ভিটামিন সি ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। পেয়ারা শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মেরে ফেলতে সাহায্য করে।

৪. হজমে সাহায্য করে। পেয়ারা ডায়েটরি ফাইবারের দুর্দান্ত উৎস। একটি পেয়ারা আমাদের দেহে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ফাইবারের ১২ শতাংশ পূরণ করে। যা হজম স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। পেটের সমস্যায় সাহায্য করে পেয়ারা পাতা। গবেষণায় দেখা গেছে, পেয়ারা পাতার নির্যাস হল অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, যা আপনার অন্ত্রে ক্ষতিকারক জীবাণুগুলো মারতে সাহায্য করবে।

৫. হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে পেয়ারা। কোলেস্টেরল দুই রকমের হয়, ভালো ও খারাপ। পেয়ারা ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই ফলে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হার্টকে রক্ষা করে।

৬. কাশি-সর্দি পেয়ারাতে সর্বাধিক পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং আয়রন থাকে, এবং উভয়ই ঠাণ্ডা লাগা এবং ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। পেয়ারার জুস বা পেয়ারা পাতার পাচন কাশি-সর্দি উপশম করতে খুব সহায়ক।

৭. কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে অন্যান্য ফলের তুলনায় এটি ডায়েটরি ফাইবারের দুর্দান্ত উৎস এবং মাত্র একটা পেয়ারা আপনার প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ফাইবারের ১২ শতাংশ পূরণ করে, যা আপনার হজম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারো। পেয়ারার বীজগুলো যদি পুরো খাওয়া হয় বা চিবানো হয় তবে অন্ত্র ভালো থাকবে।

৮. দৃষ্টিশক্তি ভালো করে চোখের সমস্যা অনেকেরই হয়। এতে ভিটামিন এ রয়েছে, তাই পেয়ারা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে। এটি চোখের স্বাস্থ্যের অবনতি রোধ করে এবং ছানি ও ম্যাকুলার ক্ষয়কেও কমিয়ে দেয়। চোখের স্বাস্থ্য, দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে পেয়ারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *